সম্প্রতি দৈনিক ইরান সংবাদপত্রের সঙ্গ এক সাক্ষাৎকারে আরাকচি বলেন,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের প্রচারণাধীন আলোচনায় যোগ দিলে তেহরান কিছুই অর্জন করতে পারবে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সমান শর্তে আলোচনার টেবিলে বসার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার চাপ প্রয়োগের নীতির অকার্যকরতা প্রমাণ করতে হবে তা উল্লেখ করে আরাকচি আরও বলেন, "সর্বোচ্চ চাপ" নীতি মোকাবেলায় ইরানের কৌশল হল "সর্বোচ্চ প্রতিরোধ"।
ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে গত কয়েক দফার আলোচনায় ইউরোপীয়দের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আরাকচি বলেন, তার দেশ রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শের পাশাপাশি ইউরোপীয়দের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
ইরানের এই শীর্ষ কূটনীতিক জোর দিয়ে বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। আমরা সরাসরি আলোচনায় প্রবেশ করব যখন আমরা সমান অবস্থানে থাকব, চাপ ও হুমকি থেকে মুক্ত থাকব এবং আত্মবিশ্বাসী থাকব যে আলোচনায় জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
আরাকচি আরও বলেন যে ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ তেহরান এখনো চলমান পরোক্ষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র প্রধান রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
গত সপ্তাহে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তিনি ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তারা যেন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করে অন্যথায় ইরানকে সামরিকভাবে মোকাবেলা করা হবে।